আজকাল অনেক মা-বাবারা আদরে আদরে সন্তানদেরকে ভদ্রতা শেখাতে ভুলে যান। শাসন বলতে কী, তা বাচ্চাদের তেমন একটা বুঝতে হয়না। এর নেপথ্যে আছে মা-বাবার কর্ম ব্যস্ততা এবং বাচ্চারা একা একা বড় হওয়া। কিংবা দাদা-দাদী বা নানা-নানীর কাছে আদরে-আবদারে-আহলাদে বড় হওয়া।

ছোট বয়সে এসবে খুব একটা ফারাক বুঝা না গেলেও সমস্যাটা চোথে পড়ে বয়স একটু বাড়ার পর। সন্তান যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে, তখন বুঝতে পারেন এতদিন কী ভুলটাই না করে আসছিলেন। তাই বলে সন্তানকে আবার কারণে-অকারণে কারণে-অকারণে অযথা শাসন করবেন না। বরং অন্যের সাথে ব্যবহারে কীভাবে সৌন্দর্য প্রকাশ পায় সেটা শেখান।

কথা বলায় জড়তা-দ্বিধা দূর করুন: আপনার সন্তানকে তার সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে দিন। একা একা বড় করলে তার মধ্যে অনেক বেশি দ্বিধা, লজ্জা ও জড়তা কাজ করবে যখন অন্যের সঙ্গে কথা বলতে যাবে। কারও সাথে দেখা হলে, কীভাবে কথা শুরু করবে সেই শিক্ষা সন্তানকে দিন। বাদ বাকিটা সে নিজেই ধীরে ধীরে বুঝে যাবে।

বলতে শেখান ধন্যবাদ: অন্যকে ধন্যবাদ বলার প্রবণতা আমাদের মাঝে কম। আপনি যেমন অন্যকে ধন্যবাদ দিবেন তেমনই আপনার সন্তানকেও শেখাবেন কেউ কিছু উপহার দিলে বা কোনো কিছু সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে হয়।

মোবাইলে শিষ্টাচার চর্চা: আজকাল বড়-ছোট সবারই মোবাইল ফোন থাকে। বাচ্চাদের হাতেও ছোট থেকেই মোবাইল রয়েছে। কর্মজীবী মা-বাবারা সন্তানের খোঁজখবর নিতে ছোট থেকেই মোবাইলে অভ্যস্ত করে তোলেন বাচ্চাদের। তাই ফোনে কীভাবে কথা বলতে হয় বাচ্চাকে শেখাবেন। কেউ ফোন করলে কেমন করে উত্তর দিতে হবে কিংবা নিজে থেকে কোথাও ফোন করলে কীভাবে, কোনভাবে কথা বলতে হবে, শিক্ষা দিন।

অন্যকে মূল্যায়ন করতে হবে: প্রতিটি মানুষই প্রতিভাবান। হোক সে ধনী কিংবা দরিদ্র। তাই পোশাকে মানুষ নয় বরং অন্যকে সব সময় মেধায়-ব্যবহারে মূল্যায়ন করতে শেখাবেন সন্তানকে। অপরের কথা শুনতে শেখান, অন্যকে গুরুত্ব দিতে শেখান। অনেক বাচ্চাই প্রচুর কথা বলে, অন্যের কথা শুনতেই চায় না। সব সময় আলাপচারিতা যেন দুজনের সমান সমান হয় বা ভারসাম্য থাকে, সে শিক্ষা দিন। ছোটবড় সবার সাথে সন্তানকে মিশতে দিন, দেখবেন আপনার বাচ্চা সঠিক ব্যবহার শিখতে পারবে।